জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান মনে করেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে আয়োজিত ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমাবেশে সংহতি জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশটি সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব) যৌথভাবে আয়োজন করে।
আইরিন খান বলেন, “এ মুহূর্তে যা ঘটছে, তা সরকারের ব্যর্থতা। গত কয়েক মাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যাঁরা মতপ্রকাশের চেষ্টা করেছেন, তাঁদের ওপরই আক্রোশ এসেছে।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা অফিস ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর কয়েকশ গজ দূরের ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই হামলা গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর জনরোষের মধ্যে সংঘটিত হয়।
আইরিন খান বলেন, “জনরোষকে অস্ত্র বানিয়ে গণমাধ্যমে কাজ করা ব্যক্তিদের ভয় দেখানো হয়েছে।” তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান, হামলার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা এবং নির্বাচন পূর্বে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা হোক।
সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে সোনারগাঁও হোটেলের সামনের রাস্তায় মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়।
